بـسـم الله الـرحـمٰـن الرحـيْـم

    • রহিম মার্কেট, সানারপাড়
    • সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা
    • রহিম মার্কেট, সানারপাড়
    • সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা

লেখালেখি

blog banner

লাভ-ম্যারেজ

আমাদের কাছে প্রতিদিনই —আল-আইয়্যাম' পত্রিকা থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন ও ফতোয়া আসে। এমন এমন প্রশ্ন আসে, যেগুলোর উত্তর দিতে বাধ্য হয়েই মগজটাকে কাজে লাগাতে হয়। লেখককে একই সাথে কলব ও কলমের সেতুবন্ধন তৈরী করতে হয়। তারপর পাঠকরা হৃদয় নিংড়ানো সে ফসল লাভ করে, যা লেখকের হৃদয়ের শিরা-উপশিরা বেয়ে, কলম থেকে শব্দের মালা হয়ে ঠাই করে নেয় কাগজের পাতায়।

সর্বশেষ যে দু'টি প্রশ্ন আসে আমাদের কাছে, তার প্রথমটি হলো - স্রেফ ভালবাসা বা প্রেমের উপর ভিত্তি করে কি একটি দাম্পত্য জীবনের শুরু হতে পারে?'

দ্বিতীয় প্রশ্নটি হলো- —ছেলেদের বিয়ের সঠিক বয়স কত?'

এ দু'টি প্রশ্নের অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত উত্তরই দেয়া হয়েছে। একটা থেকে আরেকটা অদ্ভুত। যাক, আমি কারো সাথে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না বা কারো মতামতকে প্রশ্নবিদ্ধও করছি না। আমি শুধু আমার মতটাকে সবার সামনে রেখে দেবো। আমার উপর যার আস্থা আছে এবং আমার মতামতকে যে গ্রহণ করবে, সেটা তার ব্যাপার। তার জন্য আমার শুভকামনা। আর কেউ যদি আমার মতামত গ্রহণ না করে বা বিরোধিতা করে, তাহলে তার জন্য আমি আর কিই বা করতে পারি!

প্রথম প্রশ্নের জবাব দেয়ার আগে এই প্রেম বা ভালবাসার সংজ্ঞা অথবা মর্ম নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

আল্লাহ তাআলা মানবজাতির মধ্যে এমন দু'টি চাহিদা রেখে দিয়েছেন, যা সৃষ্টিগত। অর্থাৎ সে যেই হোক এবং যেমনই হোক, এ দু'টি চাহিদা পূরণ করতে সে বাধ্য। একটি হলো খাবারের চাহিদা, আর অপরটি হলো শারীরিক চাহিদা। খাবারের চাহিদা তাকে পূরণ করতেই হবে। সে ক্ষুধা অনুভব করবে এবং এই ক্ষুধার কারণে তার খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এভাবে সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে। অন্যথায় না খেয়ে মারা যাবে।

দ্বিতীয়টি হলো শারীরিক চাহিদা বা যৌন চাহিদা। এর কারণে সে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে। এই চাহিদা তাকে মেটাতেই হবে। এর মাধ্যমে মানবজাতি তার বংশের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে।

এমন যদি হয় যে, পকেটে টাকা আছে, হাতের কাছে খাবারও আছে, তাহলে ক্ষুধা পেলে খুব একটা চিন্তিত বা পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নেই। টাকা দিয়ে খাবার কিনে পেটভরে খেয়ে নিলাম। হয়ে গেল। অথবা শারীরিক চাহিদার ক্ষেত্রে; বিবাহিত জীবন। জীবনসাথীর সঙ্গে সহাবস্থান তার জন্য বৈধ। বিবাহিত জীবনে শারীরিক চাহিদা নিয়ে কোন পেরেশানি নেই।

কিন্তু যদি এর বিপরীত হয়; যদি ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও খাবার পাওয়া না যায়? তাহলে যতবারই ক্ষুধাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, কল্পনায় খাবারের গন্ধ, বর্ণ ও স্বাদ ততবারই স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তেমনিভাবে মানুষ যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং তার শারীরিক চাহিদা হয়, তখন যদি সে এই চাহিদা মেটাতে না পারে, তার অবস্থাও অনেকটা ঐ খাদ্যহীন ক্ষুধার্ত মানুষের মতই হয়ে থাকে। আর এই চাহিদাকেই অনেকে ভুল করে প্রেম বা ভালবাসার নাম দিয়ে বসে থাকে। অথচ বাস্তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের অবস্থা ঐ ক্ষুধার্ত ব্যক্তির চেয়েও ভীতিকর আকার ধারণ করে। একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি যখন খাবারের চিন্তা করে, তখন সে গন্ধ-বর্ণ-স্বাদ নিয়েও চিন্তা করে। কিন্তু শারীরিক চাহিদা যখন প্রকট আকার ধারণ করে, তখন সে মানুষটার পুরো চিন্তা ও কল্পনার রাজ্যটা শুধু বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকে।সে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে চায়। তার সাথে কথা বলতে চায়। প্রিয় পাঠক! আপনার কি মনে হয় স্রেফ তাকিয়ে থাকলে বা কথা বললেই তার চাহিদা মিটে যাবে? সে একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির মত। একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির সামনে যদি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়, সে কি শুধু খাবারের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে? শুধু খাবারের ঘ্রাণ নেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? আর এ সুস্বাদু খাবার নিয়ে বিরাট বিরাট কবিতা লিখবে এবং এতেই তার ক্ষুধা মিটে যাবে? না রে ভাই, এমনটা হয় না। আল্লাহর কসম, এমনটা কখনই হয় না। একজন সুস্থ-সবল শারীরিক চাহিদাসম্পন্ন মানুষ কখনই বিপরীত লিঙ্গের আরেকজন মানুষের সৌন্দর্য এবং তার সাথে মিষ্টি মধুর কথাবার্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। এটা সৃষ্টিগত চাহিদা। এটা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। কেউই পারে না এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে।

কবি-সাহিত্যিকরা প্রেম-ভালবাসার যত দীর্ঘ কবিতা ও উপন্যাসই লিখুক না কেন, এই জাতীয় প্রেম-ভালবাসার মূলে সৃষ্টিগত সেই চাহিদা ছাড়া আর কিছুই নেই। নিঃস্বার্থ পবিত্র ভালবাসার যে হাওয়াই মিঠাই বাজারে পাওয়া যায়, এর ক্রেতা যুবক মজনুরা ছাড়া আর কেউ না। এটাই বাস্তবতা। যে এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে, সে নিজেও জানে যে, এটাই বাস্তবতা। সবাই জানে এটা এমন এক বাস্তবতা, যা অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই।

তো এইবার বলেন, স্রেফ ভালবাসার ভেলায় চড়ে দাম্পত্য জীবনের মহাসাগরের সফর শুরু করাটা কি ঠিক হবে?

মূলত ভালবাসা বা প্রেম যে বিষয়টি, এটি একটি মানসিক চাহিদা। মন বা হৃদয়ের একটি আকাঙ্ক্ষা। ব্যাপারটা মানসিক। শারীরিক চাহিদাসম্পন্ন দু'জন মানুষ এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত বা সঠিক অনুভূতি লাভের ক্ষমতা রাখে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মানুষ যদি পান্তা ভাত আর শুটকির ভর্তা দিয়ে দুপুরের খাবারটা খায়, তাহলে এই সাধারণ খাবারটাই তার কাছে অসাধারণ মনে হবে। কিন্তু ক্ষুধা শেষ হয়ে যাবার পর যদি তার সামনে একই খাবার রাখা হয়, তাহলে সেটা তার কাছে শুধুই পান্তা ভাত আর শুটকির ভর্তা, এর বেশি কিছু না।

এ জাতীয় প্রেমে আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের অবস্থাটাও অনেকটা একই রকম। তারা রক্তমাংসেরই একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে কল্পনায় স্বপ্নের রাজকন্যা বা রাজপুত্র বানিয়ে ফেলে। আর দুর্ঘটনাবশত যদি এদের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়, তাহলে কাল্পনিক ভালবাসার প্রহরগুলো কেটে বাস্তবতার সূর্যটা যখন আগুন বর্ষাতে শুরু করে, তখন ঐ পান্তাভাতের মত ভালবাসার সেই রাজকন্যাকেও রক্তমাংসের একজন মানুষই মনে হয়। কিন্তু তখন তার ভুলগুলো, তার সীমাবদ্ধতাগুলো খুব প্রকট হয়ে ধরা দিতে থাকে। এক সময় যে বিষয়গুলো ভালবাসার খাতিরে এড়িয়ে যাওয়া যেত, এখন সেগুলোই সব ধরণের আপত্তি ও বিরক্তির কারণ। ভালবাসা যদি হয় শরীরকে কেন্দ্র করে, তাহলে শরীরের ক্ষুধা মিটে যাওয়ার সাথে সাথে এই ভালবাসারও ইতি ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক।

এ জাতীয় বিয়েগুলো সাময়িক ও দুর্বল বন্ধনের হয়ে থাকে। শরীরের ক্ষুধা মিটে গেলে যা খুব সহজেই আলগা হয়ে যায়। অথচ বিয়ে হলো স্থায়ীভাবে একটি সম্পর্কের সেতুবন্ধনে মিলিত হওয়ার নাম, যা আস্তে আস্তে শারীরিক ও মানসিক বন্ধনে পরিণত হবে। সময়ের সাথে সাথে যে বন্ধন অটুট ও মযবুত হতে থাকবে।

অনেক আগে থেকেই আমি পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়াশোনা করি। সেই সূত্রে অনেক খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের এমন বহু উপন্যাস পড়া হয়েছে, যেগুলোর কাহিনী হলো এ জাতীয় প্রেম-ভালবাসার বিয়ে নিয়ে। সবগুলো উপন্যাসেরই শেষ হয় দুঃখ-বেদনা ও লাঞ্ছনা দিয়ে। আর লাইলি-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট, শিরি-ফরহাদ টাইপের যেসব ট্রাজেডিনির্ভর রোমান্টিক উপন্যাস আছে, সেগুলো পড়ে অযথা চোখের পানি নষ্ট করে সত্যিই কোন লাভ নেই। কারণ এগুলো সবই কাল্পনিক ভালবাসার ঐ স্তরের কাহিনী, যা নিয়ে একটু আগে আলোচনা করলাম। আর এ সব উপন্যাসগুলোর মধ্যেও যদি নায়ক-নায়িকার বিয়ে হয়ে যেত, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় তাদের মধ্যে তিন তালাক হয়ে যেতো।

সুতরাং প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আমি —না' বলবো। যে কারণে সমুদ্র-সৈকতে লবণের ভিত্তির উপর কোন ইমারত বানানো যায় না, ঠিক একই কারণে স্রেফ ভালবাসা ও প্রেমের উপর ভিত্তি করে একটি দাম্পত্য জীবনের শুরু হতে পারে না।

দাম্পত্য জীবন শুরু করার জন্য উভয় পক্ষকে সমতা বা সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। চিন্তা-চেতনা, আচার-ব্যবহার, সামাজিক অবস্থা, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে প্রথমে সমতা ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এ সব কিছু হওয়ার পর পাত্র-পাত্রী উভয়কে দেখতে পারবে। অর্থাৎ কোন মাহরাম অভিভাবকের উপস্থিতিতে পাত্র-পাত্রী দেখা করবে। সে সময় পাত্রীর শুধু চেহারা ও হাতের কবজি পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। আল্লাহর হুকুম থাকলে তাদের একে অপরকে ভাল লাগবে। তখন বিয়ে হবে। বিয়ের পর এই ভাল লাগা আস্তে আস্তে ভালবাসায় রূপ নেবে। সে ভালবাসা নীরব হবে, নীরবে হবে। সময়ের সাথে সাথে তা পরিণত হবে অটুট ভালবাসার স্থায়ী বন্ধনে।

প্রথম প্রশ্নের জন্য এটাই হলো আমার জবাব। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন... আজ আর না। সময় অনেক হয়ে গেছে। আগামী শনিবারে ইনশাআল্লাহ দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রবন্ধটি শায়খ আলী তানতাভী রহ. লিখিত مع الناس কিতাব থেকে অনুদিত

تطلع علينا "الأيام" كل يوم باستفتاء أو سؤال تحرك به ما جمد من العقول وتوقد به ما خمد من القرائح، تدفع الكتاب إلى إعمال العقل وإجراء القلم، فيستمع القراء بثمرات عقولهم وحصاد أقلامهم.

وكان من آخر ما طلعت علينا به السؤال عن الزواج: هل يمكن أن يبنى على الحب وحده؟ وعن سن الزواج: متى يحسن بالرجل أن يتزوج؟

وبدت طلائع الأجوبة، فكان منها ما هو عجب من العجب. وأنا لا أحب أن أجادل أحدا ولا أن أرد على أحد، وإنما أدلي بالرأي الذي أراه، فمن كان يثق بي واتبع رأيي فبها و نعمت، ومن خالفني وعصاني فلست مسؤولا عنه ولا أنا عليه بوكيل.

وقبل الجواب على السؤال الأول، أحب أن أفهم ما هو هذا الحب الذي تسألون عنه؟

إن الله خلق في الإنسان غريزتـين؛ غريزة لبقاء ذاته، وغريزة لبقاء نوعه. فبالأولى يسوقه لذع الجوع إلى ابتغاء الطعام ليدفع بالشبع الموت عن نفسه، وبالثانية يسوقه وقد الشهوة إلى الاقتراب من الأنثى ليمنع بالنسل الانقراض عن جنسه.

وقد يكون الطعام بين يديك في المطعم وثمنه في جيبك، تفكر فيه فتراه أمامك، ويكون الجنس الآخر في ملكك، ويكون حلالا لك قيد طلبك، فلا تشغل بتصوره ذهنك ولا تكد بانظاره أعصابك.

وقد يكون الجوع موجودا والطعام مفقودا، فأنت كلما قاسيت مرارة الجوع ازدادت في تصورك حلاوة الطعام، فإذا طال الأمد صار لك (كما يقول علماء النفس) فكرة ثابتة، فأنت لا تفكر إلا فيه ولا تحن إلا إليه.

وتكون الرغبة الجنسية موجودة والجنس الآخر مفقودا، فيكون عندك من التفكير فيه مثل تفكير الجائع في الطعام. وهذا هو الذي نسميه الحب، وهو أشد من تفكير الجائع بالطعام، لأنه حين يطلبه لا يفكر في لونه ولا في جنسه، والجائع الجنسي قد تستقر رغبته في امرأة بعينها تنحصر دنياه كلها فيها. إنه يطلب أن ينظر إليها ويحدثها، فهل ترونه يكتفي إن رآى بالنظر؟ هل تظنون أنه إن حدثها قنع بالحديث؟ إنه كالجائع، فهل يكفي الجائع أن يرى الطعام ويشمه وينظم في وصفه الأشعار ويصوغ القوافي؟

لا يا أولادي، لا والله العظيم؛ إنه لا يريد جمالها لعينه ولا حديثها لأذنه، ولكنه يريد قفلها لمفتاحه. إنها غريزة النوع لا يريويها إلا ما يتم به النسل.

وما الحب (مهما زخرفه الشعراء وزوقه الأدباء) إلا رغبة في الاتصال الجنسي لم تجد طريقها. إن الحب العذري الشريف حديث خرافة لا تروج سوقه إلا على المجانين و الشباب. هذه حقيقة من أنكرها وجد الرد عليه في نفسه، إن في كل نفس الدليل على أنها حقيقة لا سبيل إلى إنكارها، فهل يصلح الحب وحده أساسا للزواج؟

إن الحب جوع نفسي، فهل يستطيع الجوعان أن يحكم على جودة الطعام؟ ألا يزين له جوعه المجدرة حتى يحس لها تحت لسانه طعم الخروف المحشي؟ فإذا زالت لذعة الجوع عادت المجدرة مجدرة، وتبين أنها لم تكن خروفا إلا في أوهام الجوع. كذلك المحب؛ إنه يسبغ من حبه على المحبوب ثوبا براقا يراه يه أجمل الناس. فإذا تزوجها لهذا الثوب الذي يغريه بها، ثم زال عنها لما زال الحب، لم يبق بينهما زواج، لأنه ما تزوج بها ولكن تزوج الثوب الذي أسبغه خياله عليها، وما دام الحب في حقيقته اشتهاءً للقاء الجنسي، فلا بد أن يزول إن زالت هذه الشهوة، ولا بد أن يعقل المجنون فتعود ليلى في نظره امرأة كسائر النساء فلا تبقى له فيها رغبة، كما تذهب رغبة الجائع في الطعام إذا ملأ معدته منه. إنه رباط مؤقت ينقطع من الملامسة الأولى (وأنتم تفهمون ما معنى الملامسة) والزواج صلة دائمة تحتاج إلى رباط دائم يقوى بالملامسة ويشتد، ولا يزداد على الأيام إلا قوة وإحكاما.

وأنا من مدمني النظر في آداب الأمم لكلها، ولا أحصي القصص التي قرأتها لكبار الأدباء في موضوع الزواج يبنى على الحب، ونهايتها كلها الشقاق والفراق، ولا تغتروا بأمثال آلام فرتر ورفائيل وماجدونيل وبول وفرجيني وكرازييلا وجوسلان والأجنحة المتكسرة، فهذه كلها صور لمرحلة الرغبة التي تكلمت عنها، ولو تزوج كل واحد من أبطالها بالتي يعشقها زواج حب قفط لكانت خاتمة القصة الطلاق!

لا؛ لا يصح أن يبنى الزوج على الحب وحده إلا إن صح أن يبنى العمارة الضخمةعلى أساس من الملح في مجرى الماء!

إنما يبنى الزواج على التوافق في التفكير والسلوك والوضع الاجتماعي والحالة المالية، وبعد هذا كله تأتي العاطفة، فينظر إليها وتنظر إليه، أي ينظر إلى وجهها وكفيها فقط بحضور وليها أو أحد محارمها، لا كما أفتى ذلك الشيخ الخباص الباقوري. فإن ألقى الله في قلب كل منهما الميل إلى الآخر صار هذا الميل مع الزواج حبا هادئا مستمرا، وإن أحسا نفرة أو عزوفا أغنى الله كلا منهما عن الآخر.

هذا جوابي على السؤال الأول. ((أما جواب السؤال الثاني فقد طال المقال وضاق عنه المجال؛ فأمهلوني في الكلام عليه إلى الإثنين القادم إن شاء الله))

المصدر: مع الناس بقلم الشيخ علي الطنطاوي